সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
জুড়ী প্রতিনিধি :: তিনশ টাকা মজুরীর দাবীরত সারাদেশে চা বাগান গুলোতে ধর্মঘট চলাকালে মালিকপক্ষের মাধ্যমে অফিস স্টাফরা কারখানা চালু করায় মৌলভীবাজারে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা মালিক পক্ষের লোকজনকে কারখানায় অবররোধ করে তালাবদ্ধ করে রাখে।
মৌলভীবাজারের জুড়ীর ধামাই চা বাগানে এ ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে উত্তেজনা নিরসন করেন এবং স্টাফদের মুক্ত করেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে ঘটেছে।
সরেজমিন ধামাই চা বাগানে গিয়ে জানা যায়, ৩০০ টাকা নূন্যতম মজুরীর দাবীতে চা শ্রমিকদেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমানে সারাদেশের চা বাগানে শ্রমিক ধর্মঘট চলছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ধামাই চা বাগানের মালিকপক্ষ আগের সংগ্রহ করা চা পাতা নষ্ট হয়ে যাবে বিধায় সে গুলো প্রক্রিয়া করার জন্য শ্রমিক বলেন। এ কাজের যথাযথ মজুরী দেয়ারও আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকরা সেটা মানেনি। এক পর্যায়ে বাগানের ডিজিএম ও ডেপুটি ম্যানাজারসহ কর্মচারীরা নিজেরাই কারখানা চালু করেন। এ খবর পেয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা দলবদ্ধ হয়ে কারখানার ভিতরে রেখে বাহিরে তালা মেরে অবরোধ করে রাখে।
খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। কারখানায় কাজ বন্ধ রাখার শর্তে শ্রমিকদের শান্ত করে মালিকপক্ষকে মুক্ত করেন।
এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী উপস্থিত ছিলেন।
ধামাই চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি যাদব রুদ্র পাল বলেন, শ্রমিকদের পেটে লাথি দিয়ে ম্যানেজার কিভাবে ফ্যাক্টরী চালু করে? আমাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বাগানের ডিজিএম শেখ কাজল মাহমুদ বলেন- তাদের আন্দোলনে আমাদের কোন বিরোধীতা নেই। তারা কর্মবিরতি করছে, আমি তাদের বুজিয়েছি যে, বাগানের অনেকগুলো পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই পাতা বিক্রি করে শ্রমিকদের, স্টাফদের মজুরী দেওয়া হয়। সরকারও রাজস্ব পায়। তারা যেহেতু আপাতত কাজ করছে না, সেহেতু আমরা সবাই মিলে সংগৃহীত পাতা গুলো নষ্ট না হওয়ার জন্য ফ্যাক্টরী চালু করেছিলাম। পরে তারা এসে তালা মেরে দিয়েছে।